
আমিরুল ইসলাম, নকলা-নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি :
শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টি না হওয়ায় ও প্রচন্ড রোদের তাপে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন উপজেলার সবজী ও ধান চাষীরা।
গত প্রায় একমাস যাবত ব্যাপক তাপদাহে চলতি বর্ষা কালে শুকিয়ে গেছে ফসলের মাঠ।
দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধান রোপনের এই সময়ে বীজ তলা প্রস্তুত থাকলেও পানির অভাবে রোপণ করতে পারছে না কৃষকরা। প্রখর রোদে মাঠ-ঘাট শুকিয়ে যাওয়ার বিপন্ন হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। তীব্র গরম আর বিদ্যুতের লোড শেডিং এ জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
অতিরিক্ত গরম ও প্রচন্ড রোদে কর্মজীবি মানুষ দুর্ভোগ আর কষ্ট পোহাচ্ছে। বৃষ্টির আশায় এখনো দিন গুনছে কৃষকরা। অনেক এলাকায় সেচ পাম্প দিয়ে বীজতলা ও জমিতে পানি দিতেও দেখা গেছে। বৃষ্টির জন্য ইস্তিকার নামাজ আদায় করছেন অনেকে। গত বোর মৌসুমে অতি বৃষ্টি ও শ্রমিক সংকটে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পুর্ব পাড়া গ্রামের কৃষি শ্রমিক সাইফুল ইসলাম বলেন, অসহ্য গরমে কাজ করতে পারছি না
আবার কাজ না করেও উপায় নেই সংসার চালাতে হয়। এই রোদে বেশি কাজ করা যায়না।
নালিতাবাড়ীর আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক সুরুজ্জামান বলেন, খড়ার জন্য জমিতে পানি নেই ধান লাগাতে পারছি না। দেরি হলে ফলন কম হবে।ধানচাষ করেও ন্যায্য মুল্য পাইনা।
নকলা উপজেলার কৃষক জয়নাল আবদীন বলেন, বৃষ্টির অভাবে জমি তৈরি করতে পারছিনা। সেচপাম্পের পানি দিয়ে জমি আবাদ করলে অনেক খরচ বেড়ে যাবে। সময় চলে যাচ্ছে, দুশচিন্তায় আছি।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, বৈরী আবহাওয়া বা প্রকৃতির উপর কারো হাত নেই। এখন বীজতলায় পানি দেয়া প্রয়োজন। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে ধান রোপনে সমস্যা হবেনা।