

আতোয়ার রহমান রানা, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা থেকেঃ
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার পুরাতন ফুলছড়ি ঘাটে ব্রহ্মপুত্রের তীরে মাটির তলদেশ থেকে ৩০ ফিট উচ্চতা এবং ৫০০ মিটার দীর্ঘ ক্রস বাঁধ নির্মাণ হওয়ায় পাল্টে গেছে পুরাতন ফুলছড়ি ঘাটের দৃশ্যপট। ফলে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে ফুলছড়ি ঘাটের (গণকবর), জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু’র মুর্যাল, প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের ঘর, ঐতিহ্যবাহী ফুলছড়িহাট সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির ও বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়া বাঁধের দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বে বিশাল এলাকাজুড়ে কয়েক সহস্রাধিক একর জমি জেগে উঠবে। ফলে নদী ভাঙ্গনের কবলে ভিটেমাটি হারা শতশত অসহায় ভুমিহীন পরিবারের পূর্নবাসনের ব্যবস্থা হবে।
স্থানীয়রা বলেন, এ এলাকায় তেমন দর্শনীয় স্থান নেই। সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষার পর সেখানে নদীর পার যেমন পর্যটন এলাকায় পরিণত হয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে এ ক্রস বাঁধটি ফুলছড়িকে একধাপ এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে। বর্ষায় এ বাঁধের সৌন্দয্য আরও বেশি সুন্দর দেখাবে। তখন বাঁধের তিন পাশে নদের পানি থাকবে।
ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল হান্নান মন্ডল বলেন, এ এলাকাটা একটা নদীভাঙন কবলিত, এখানে যে বাঁধটি করা হয়েছে, এ বাঁধটির কারণে এখানে গণকবর, এখানে পুরাতন ফুলছড়ি হাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষা পাবে। দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত লাভ করলে অনেকেই এটাকে ঘিরে ব্যবসা-বাণিজ্য করে সংসার চালাতে পারবে।
গোলাম রাব্বানী কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: নুরে আলম খান বলেন, যমুনা নদীর ভাঙন থেকে ফুলছড়ি উপজেলাকে রক্ষা করার জন্য যে প্রকল্প আছে প্রধানমন্ত্রীর এ প্রকল্পেরই অংশ বিশেষ হলো গণকবর ক্রস বাঁধ। এ বাঁধ দেওয়ার উদ্দেশ্যটি হলো নদীর স্রোতকে ডাইভাট করে দিয়ে যাতে করে অন্যদিকে প্রবাহিত করা। এখানে যে গণকবর আছে, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু’র মুর্যাল আছে, ঐতিহ্যবাহি ফুলছড়ি হাট এবং পার্শবর্তী গ্রামগুলো রক্ষা করবে এ ক্রস বাঁধ। আর এ ক্রস বাঁধের কারণে বাঁধের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে চরে উর্বর আবাদী জমি তৈরি হবে।