
চলনবিল প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক দম্পতিকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের নৌবাড়িয়া নতুনপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাদেরকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত নবি সরদারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৩) ও জাহিদুলের স্ত্রী মৌসুমী খাতুন (২০)। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে জাহিদুল বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের নৌবাড়িয়া নতুনপাড়া গ্রামের মৃত নবি সরদারের ছেলে জাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে বেশকিছু দিন পূর্বে জোরপূর্বকভাবে ২ শতাংশ জমি (রেজিঃ) লিখে নেন একই গ্রামের মৃত গফুর আলীর ছেলে আবু সাইদ। এরপর জাহিদুলের অবশিষ্ট জমি তাকে না লিখে দেয়ায় বিভিন্নভাবে ভয়ভীতিসহ হুমকি দেন আবু সাইদ। এমতবস্থায় সোমবার রাতে আবু সাইদের নেতৃত্বে পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়া গ্রামের ও পাশ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার ধানুয়াঘাটা গ্রামের ৭ জন লোক নিয়ে জাহিদুলের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে জমি লিখে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। জাহিদুল জমি লিখে দিতে অস্বীকার করলে আবু সাইদ ক্ষীপ্ত হয়ে তাকে বেদরক পেটায় ও গলাটিপে হত্যা করার চেষ্টা করে। এ সময় জাহিদুলের স্ত্রী মৌসুমী খাতুন থামাতে গেলে আবু সাইদ তাকেও লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
আহত জাহিদুল অভিযোগ করে বলেন, ওই জমি আমি ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু ওই জমি আবু সাইদ জোরপূর্বকভাবে ২ শতাংশ জমি লিখে নেয়। আমার অবশিষ্ট জমিও সাইদকে লিখে না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী আমাকে ও আমার স্ত্রীকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এর বিচার চাই।
তবে মারধরের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত আবু সাইদ বলেন, জাহিদুল তার ২ শতাংশ জমি আমার কাছে বিক্রি করেছে। অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুঃ ফয়সাল বিন আহসান অভিযোগপ্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।