
শান্তনু হাজরা ,কলকাতা, ভারতঃ
ভারত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো তে দেশ শাষণ ব্যবস্থা চলে।
ভারতের লোকসভা অধিবেশন এ এবার থেকে অসংসদীয় ভাষা প্রয়োগ করতে পারবে না অধিবেশন চলা কালীন। সরকারের শাষক পক্ষ ও বিপক্ষে থাকা দেশের রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্যরা ।
এই নিয়ে তীব্র বিরোধীতায় নেমেছে জাতীয় কংগ্রস , সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রস , জেডিইউ , ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদ।
লোকসভা অধিবেশন চালা কালীন এই শব্দ ব্যবহার করতে পারবে না সেই শব্দ হলো জুমলাজীবী,(মিথ্যা বাদী) বাল বুদ্ধি,(চুলের মত বুদ্ধি )এবং ‘স্টুপেট (বোকা)’-এর মতো শব্দের ব্যবহার এবং ‘লজ্জিত’, ‘অপরাধিত, ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘ভণ্ড’ এবং ‘অযোগ্য’-এর মতো সাধারণভাবে ব্যবহৃত শব্দগুলি লোকসভা এবং রাজ্যে অসংসদীয় বলে বিবেচিত হবে।এমনকী দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হতে একাধিক বার যদি অধিবেশন চলাকালীন অসংসদীয় ভাষায় মতামত প্রকাশ করলে।
এ বিষয়ে বিরোধিতা করে টুইট করে জানিয়েছে ,রাজ্যসভায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ডেরেক ওব্রায়ান টুইটে লিখেছেন , কয়েকদিনের মধ্যেই অধিবেশন শুরু হবে সাংসদদের উপর গ্যাগ অর্ডার জারি।
এখন, সংসদে বক্তৃতা দেওয়ার সময় আমাদের এই মৌলিক শব্দগুলি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে না: লজ্জিত। অপব্যবহার করেছে। বিশ্বাসঘাতকতা ,,দুর্নীতিগ্রস্ত,,কপটতা,,অযোগ্য আমি এই সব শব্দ ব্যবহার করব. আমাকে সাসপেন্ড কর।গণতন্ত্রের জন্য লড়াই ।
অপরদিকে কংগ্রেস এমপি তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররন্জন চৌধূরী অসংসদীয় ভাষা প্রয়োগ নিয়ে কটাক্ষ করছে বিজেপির নেতৃত্ব কে।
অপরদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের একটি টুইটের তীব্র ব্যতিক্রম করেছেন। রাজ্যসভার সাংসদ কোনও বিতর্ক ছাড়াই সংসদে বিল পাস করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেছেন।
এই অসংসদীয় ভাষা বন্ধ করার সিদ্ধান্তে পর ,ভারতের রাজনৈতিক মহলে বেশ কটাক্ষের লড়াই শুরু হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি বানাম সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের।
তবে পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশ গুলোতে ওই দেশের পার্লামেন্টের অধিবেশন চলা কালীন অসংসদীয় ভাষা স্থগীত রেখেছে উদাহরণ স্বরুপ ক্যানাডা , ইউনাইটেড কিংডম , আমেরিকা আরও অনান্য দেশে রদ করা আছে অসংসদীয় ভাষা।