

নওশাদ রানা সানভী, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ৯নং অরণখোলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মো. আব্দুর রহিম ৭ হাজার ৩১৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি ঘরাণার স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. লস্কর আলী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৬৫ ভোট। এ নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ( ১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে একটানা ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। সকালে ভোট কেন্দ্র ভোটার উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়াও স্বতন্ত্র পদে আরও দুই জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসান ইমাম মিন্টু (আনারস) দলীয় প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে ২৩ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৮৫৮ জন।
নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন- ১নং ওয়ার্ডে আবুল হাশেম বাবু, ২নং ওয়ার্ডে সুলতান উদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ডে আবুল হোসেন, ৪নং ওয়ার্ডে প্রবীর নকরেক বর্মণ, ৫নং ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মজিবর রহমান, ৬নং ওয়ার্ডে মো. আব্দুর রাজ্জাক, ৭নং ওয়ার্ডে আব্দুল বাছেদ, ৮নং ওয়ার্ডে ফিলিপ কুবি ও ৯নং ওয়ার্ডে হাসমত আলী। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন- আবিদা সুলতানা লাকি, ফজিলা বেগম ও মাছুদা বেগম।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, নির্বাচনে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে।
উল্লেখ্য, ইউপি নির্বাচনের নবম ধাপে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৫ জুন এ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু গত ৮ জুন বিকালে মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের আমলীতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুর রহিমের নির্বাচনী সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও মির্জাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম সাদিক ভোটারদের উদ্দেশ্য করে হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্য দেন। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তার বক্তব্যের জেরে গত ১২ জুন অরণখোলা ইউপি’র নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। ১৪ জুন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ আলী বাদি হয়ে সাদিকুল ইসলাম সাদিকের নামে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ১৪ জুলাই পুনরায় স্থগিত হওয়া মধুপুর উপজেলার ৯নং অরণখোলা ইউনিয়নে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত দেন নির্বাচন কমিশন।