
মাদারীপুর থেকে সংবাদদাতাঃ
মাদারীপুরের ডাসারে একটি পাঠাগার বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নবগ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল তালুকদারের বিরুদ্ধে। এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, আরো ৩ বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি পরিত্যাক্ত হওয়ার সেটিকে বন্ধ করে দেওয়ার হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মৌখিক অনুমতিক্রমে নিজেদের অর্থায়নে ভবনটির একটি কক্ষ মেরামতের মাধ্যমে সেখানে পাঠাগার গড়ে তুলে। সেখানে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন পাঠক নিয়মিত বই পড়তো। কিন্তু সম্প্রতি নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান দুলাল তালুকদার সপ্তাহে ২ দিন এই পুরাতন ভবনে অফিস করবেন বলে পাঠাগারটি বন্ধ করে বাথরুমের পাশের একটি কক্ষে বইগুলো ফেলে রাখেন। এতে স্থানীয়রা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবী পাঠাগারটি দ্রুত চালু করা হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা মিহির হাওলাদার বলেন, যারা নিয়মিত বই পড়তো তাদের নিয়েই আমরা এই পাঠাগারটি চালু করি। কিন্তু গত ইউপি নির্বাচনে আমরা নৌকার নির্বাচন করি। নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী দুলাল তালুকদার জয় লাভ করে। আমরা নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে তিনি এই লাইব্রেরীটিকে বন্ধ করে দেয়। আমরা চাই নবগ্রাম পাবলিক লাইব্রেরীটি পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা হোক।
নৃপেন বৈদ্য নামের আরেক স্থানীয় ব্যক্তি জানায়, নবগ্রাম ইউনিয়নে ২ টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন রয়েছে। একটি শশীকর এলাকায় ও একটি নবগ্রাম এলাকায়। কিন্তু চেয়ারম্যান এই ভবনটিকে স্বীকার করেন না। আমরা পরিত্যাক্ত ভবনে পাঠাগার তৈরি করায় এখন তিনি সেটিকে দখল করে ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সে যদি এই ভবনটিকে স্বীকার না করে তাহলে কীভাবে বসে?
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান দুলাল তালুকদার বলেন, গত ৩ তিন বছর যাবৎ এটা পরিত্যক্ত ছিল। আগের চেয়ারমান এখানে বসতো না। তাই আমি নির্বাচিত হয়ে এখানে বসেছি।