

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের হাঁসুয়ারি (মাইজপাড়া) গ্রামের শারীরিক অক্ষম শরীফা-সুবর্ণা। তাদের মা রহিমা বেগম মারা গেছেন বাইশ বছর আগে। তাদের বাবা আব্দুর রহমান, মারা যান বছর পূর্বে।
সেই থেকে মা-বাবার রেখে যাওয়া জন্মগতভাবে শারীরিক অক্ষম শরীফা আক্তার (৩২) ও সুবর্ণা আক্তারের (২৮) ভরণপোষণের দায়িত্ব এসে পড়ে বড় ভাই অসহায় দিনমজুর হারুনুর রশিদের ওপর।
অল্প বসতভিটা ছাড়া সন্তানদের জন্য তেমন কিছুই রেখে যাননি বাবা-মা।
হারুন রশিদের সংসারেও রয়েছে স্ত্রী ও দুই ছেলে তার উপর প্রতিবন্ধি দুই বোন শরীফা-সুবর্ণা। তাই খেয়ে না খেয়ে অতিকষ্টে দিন কাটছে দিনমজুর হারুনুর রশিদের।
এমত অবস্থায় সামনে কোরবানি ঈদ। ঈদ মানেই খুশি কিন্তু প্রতিবন্ধি শরীফা-সুবর্ণা ও দিনমজুর হারুনুর রশিদের পরিবারে ঈদের আনন্দ নেই। একমাত্র মানবিক সহযোগিতার মাধ্যমে দিনমজুর হারুনুর রশিদ ও শরীফা-সুবর্ণা পরিবারের ঈদের আনন্দ ফিরে আসতে পারে।
দিনমজুর হারুনুর রশিদ তার দুই প্রতিবন্ধী বোনদেন নিয়ে ভালো কিছু খেয়ে,পড়ে, ঈদের আনন্দ করতে সমাজের বিত্তশালীদের কাছে সহায়তা কামনা করছেন।
দিনমজুর হারুনুর রশিদ ও তার দুই প্রতিবন্ধী বোনের এমন চিত্র প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেন, কেন্দুয়া উপজেলা মানবাধিকারকর্মী মামুনুর কবীর খান হলি, এর পর বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে, সরকারি ভাবে ১০ হাজার টাকা সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে শুক্রবার( ৮ জুলাই) দুপুরে মানবাধিকারকর্মী মামুনুর কবীর খান হলি বলেন, কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিনমজুর হারুনুর রশিদকে খবর দিয়ে এনে ১০হাজার টাকা সহায়তা করেছেন। এছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে কিছু সহযোগিতা করেন অনেকে।
হলি খান আরো বলেন, দিনমজুর হারুনুর রশিদ তার দুই প্রতিবন্ধী বোনের নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদেরকে সহযোগিতা কামনা প্রয়োজন।