
পটুয়াখালী থেকে সংবাদদাতাঃ
একই স্থানে দাড়িয়ে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত দেখা ও প্রকৃতির নৈসার্গিক সৌন্দর্যের কারণে প্রতি বছর ১২ লাখের মতো দেশী বিদেশী পর্যটক ছুটে আসে সাগর কন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর কায়াকাটায়। পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পরে বাড়তে শুরু করেছে পর্যটকের সংখ্যা। ঢাকা-কুয়াকাটা রুটে নতুন করে চালু হয়েছে ভিআইপি বাস। প্রতিদিন কুয়াকাটার উদ্দ্যেশে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে ৩২ টি এসি, নন এসি ও ডিআইপি বাস। কিন্তু
টার্মিনাল না থাকায় সড়কের মধ্যেই রাখা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাসগুলো। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। নিবিঘ্নে পদচারণ করতে পারছেনা পর্যটক ও সাধারণ পথচারীদের।
সড়কের দুই পাশে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে যাত্রী পরিবহনকারী বাস। মাঝখান দিয়ে চলাচল করছে অন্যান্য যানবাহন ও মানুষ। কুয়াকাটা পর্যটন নগরীর বাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এভাবেই সড়কের ওপর রাখতে হচ্ছে বাস সহ যাত্রী পরিবহন। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানযট। নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছেনা পর্যটরা।
জানাযায়, কুয়াকাটায় বাস ও যাত্রী পরিবহন রাখার জন্য চলতি বছরের জানুয়ারীতে বাস টার্মিনাল নির্মাণের টেন্ডার হয় ‘পৌরসভা হতে। বাস টার্মিনাল ভবন, অভ্যান্তরিন ড্রেন, ফুটপাত, আইল্যান্ড, গ্রীন জোন, প্লানটার বক্স, অভ্যন্তরিন রোড ও পার্কিং পেভমেন্ট নির্মাণের প্যাকেজ ব্যয় ধরা হয় ৭ কোটি ৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। কাজের সময়সীমা দেয়া হয় এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু কাজের মেয়াদ শেষ হলেও দুই তৃতীয়াংশ কাজ এখনো বাকি রয়েগেছে। শুধুমাত্র বালু ভরাট আর সীমানা
প্রাচীরের কিছু অংশের কাজ হয়েছে।কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে একাধিক পর্যাটকরা বলেন, বাস টার্মিনাল না থাকাতে রাস্তার মাঝে পার্কিং হচ্ছে গাড়ি গুলো। এতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।একটি স্থানী টার্মিনাল হলে কুয়াকাটার পরিবেশটা আরও দর্শনীয় হতো।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলেন, কুয়াকাটা গাড়ি রাখার মতো কোন নির্দিষ্ট স্থান নাই। যার ফলে জ্যাম লেগেই থাকে। দ্রুত সময়ের মধ্যে টার্মিনাল নির্মানের দাবি জানান তারা।
কুয়াকাটা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এইচ. এম সোলায়মান জানান, কাজের মেয়াদ শেষ হলেও কাজের সময়সীমার ২০ ভাগ সময় পৌরসভা হতে বাড়ানোর সুযোগ আছে।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র মোঃ আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পর্যটকদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আপাতত আশেপাশের এক যায়গায় অস্থায়ীভাবে বাস ও অন্যান্য যাত্রী পরিবহন রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।