
জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধাঃ
পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে সড়কপথে একদিকে যেমন বাড়িমুখো মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়, তেমনি ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলমুখো
মানুষদেরকেও বাসযাত্রীদের সড়ক ও রেলপথে ট্রেনযাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহানোসহ চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা রেল ষ্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, ঈদুল আযহার ছুটিতে পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ শেষে নিজ নিজ
কর্মস্থলে ছুটছে কর্মজীবী মানুষেরা।
শুক্রবার ঢাকামুখী লালমনি এক্সপ্রেস বন্ধ থাকায় ও ঈদের ৬দিন ছুটির পর ১৭ জুলাই রোববার সপ্তাহের প্রথমদিন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার শেষ তারিখ হওয়ায়
ঢাকা ফিরছেন সরকারি চাকরিজীবীসহ বেসরকারি চাকরিজীবীরা। আর এই কারনে রেলপথ পথে যাত্রীদের চাপ অনেকটাই বেড়ে গেছে। তার মধ্যে নারী ও শিশুরা পড়েছে চরম বিপাকে। ঈদের আনন্দের স্বস্তি থাকলেও প্রিয়জন ছেড়ে কর্মব্যস্ত মানুষ রাজধানীতে ফিরতে শুরু করায় কিছুটা কষ্টের কথাও জানান উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী ফেরা এসব মানুষ। ট্রেনের ছাদ থেকে শুরু করে প্রতিটি বগির কামড়াই ছিল চোখে পড়ার মতো যাত্রীর ভিড়। আসন সংখ্যার চেয়ে যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ট্রেনে যাত্রীদের উঠতে সমস্যা হয়। ট্রেনের দরজায় ভীড় থাকায় অনেক যাত্রী ট্রেনের জানালা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদেরকে চরম বিপাকে পড়েতে হয়। অনেক যাত্রী ট্রেনের টিকিট থাকা সত্বেও ভীড়ের কারনে ট্রেনে উঠতে পারেনি। এতে করে তাদের যাত্রা বাতিল হয় ও টিকিটের টাকা অপচয় হয়।
শাহানা বেগম নামে এক যাত্রী বলেন- শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য এসেছিলাম। প্রায় এক সপ্তাহ থাকার পর আমার হাজবেন্ট এর অফিস খুলে যাওয়ায় ও সন্তানের স্কুলের ছুটি শেষ হওয়ায় আবার ঢাকা ফিরতে হচ্ছে। ট্রেনে যাত্রীর চাপ প্রচুর থাকায় ট্রেনে উঠতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আশিকুর রহমান নামের আরেক যাত্রী বলেন, বাবা-মা, ভাইদের সঙ্গে ঈদ করতে স্ত্রী,ছেলেসহ গাইবান্ধার বাড়ি এসেছিলাম। এক সপ্তাহ ছুটি কাটানোর পর
আবারও ঢাকায় ফিরছি। তবে ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় ট্রেনে উঠতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ট্রেনের ভিতরেও আসন সংখ্যার বাহিরেও যাত্রীদের
চাপ। নড়াচড়ার উপায় নেই।
গাইবান্ধা ষ্টেশন ম্যানেজার আবুল কাশেম সরকার জানান, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। সড়ক পথে যানজট সৃষ্টির ভয়ে দীর্ঘক্ষণল
রাস্তায় বসে থাকার ভয়ে মানুষ ট্রেনমুখি হচ্ছে।