
নিজস্ব প্রতিনিধি, শরীয়তপুর:
মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
বুধবার (১৩ জুলাই) বিকাল ৪টায় উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের চরজালালপুরে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ ও স্থানীয় যুব সমাজ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধনের আয়োজন করে চরজালালপুর সর্বদলীয় যুব ঐক্য ফোরাম। এসময় মানববন্ধন পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।
জানা যায়, ইতোমধ্যে আলাওলপুর ইউনিয়নের চরজালালপুর মৌজার কয়েকশো বিঘা ফসলি জমি এবং কয়েক হাজার পরিবারের ভিটেমাটি মেঘনার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
প্রতিবছর বর্ষা এলেই অসংখ্য পরিবার ভিটেমাটি হারায়। ইতোমধ্যে অত্র ইউনিয়নের সর্ববৃহৎ বাজার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। মসজিদ মাদরাসা সহ অসংখ্য ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গ্রাস করে নিয়েছে চাঁদপুর হয়ে প্রবাহিত মেঘনা নদী।
এ অবস্থায় অবহেলিত জনপদ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মানববন্ধনের আয়োজন করেছে স্থানীয় যুবকদের সংগঠন। চরজালালপুর সর্বদলীয় যুব ঐক্য ফোরাম।
মানববন্ধন পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, চরজালালপুর আলাওলপুর একটা গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। দীর্ঘদিন ধরে এই জনপদ অবহেলিত হয়ে আসছে। এখানকার অধিকাংশ মানুষ সাধারণ খেটে খাওয়া। অধিকাংশ মানুষ জমিতে ফসল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু মেঘনার প্রবাহমান স্রোতের ধাক্কায় প্রতিবছরের মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে ফেলছে এখানকার মানুষ। কয়েক শতাধিক পরিবার নিজের স্বজনদের ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমান পুরো জালালপুর তথা আলাওলপুর ইউনিয়ন হুমকির মুখে পড়েছে। তাই এই মুহূর্তে এলাকাবাসীর একটা চাওয়া চর জালালপুর রক্ষায় নদী পাড়ে বাঁধ নির্মাণ করা হোক।
এসময় স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহন শরীফ মাদবর, ফারুক আলম সরদার, মানসুর আলম মাদবর, হায়দার আলী সরদার, নুরুল আমিন গাছা, বাদল সরদার, কালাম মৃধা প্রমুখ।
এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন যুব ঐক্য ফোরামের অন্যতম সমন্বয়ক, শাহপরান, শাহনূর শাহীন, মহীউদ্দীন বাবর, ওসমান গনী লিটন, বাহাউদ্দীন নাসিম, সাইফুল ইসলাম, ডিএম ফয়সাল, তুহিন, আমির হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শরীয়তপুরের পূর্বাঞ্চলে গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুর, কোদালপুর, মাইজারা ও কুচাইপট্টি ইউনিয়নের বৃহৎ অংশ চাঁদপুর হয়ে মেঘনা নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থান করছে। বেশ কয়েক বছরে এসব অঞ্চলের হাজার হাজার পরিবারের ভিটেমাটি মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে।