
শান্তনু হাজরা, শান্তিনিকেতন, ভারত:
ক্রমশ খারাপ হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রের পরিস্থিতি । দেশের পরিস্থিতির জন্য উদ্বিগ্ন শান্তিনিকেতনে বসবাসকারী শ্রীলঙ্কান পরিবার এদেশে পঠন পাঠনের জন্য আগত পড়ুয়ারা ৷ যদিও এই পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী করছেন চাঁদনি কস্তুরি আরচি ও তাঁর ছেলে লাহিরু সাতসার।
শ্রীলঙ্কার কালুতারা জেলার হরানা শহরে জন্ম চাঁদনি কস্তুরি আরচির । বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনে কথাকলি নৃত্য নিয়ে পড়তে আসা ৷ তারপর এখানেই বিয়ে করে থেকে যাওয়া ৷ ২০১৭ সালে শেষবার শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন তিনি । ছেলে লাহিরু সাতসরের জন্ম শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে ৷ শেষবার ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন তিনি । বর্তমানে শান্তিনিকেতনের অ্যান্ড্রুজপল্লীর বাসিন্দা তাঁরা ৷ তবে শ্রীলঙ্কায় বহু আত্মীয়স্বজন রয়েছেন ।দেশের এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন শান্তিনিকেতনে বসবাসকারী শ্রীলঙ্কান এই পরিবার ৷ তাঁরা জানালেন, বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় মানুষজনের হাতে টাকা থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারছেন না ৷ জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে ৷ দেশের এই পরিস্থিতির জন্য সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন তাঁরা ৷
চিন্তায় ঘুম উড়েছে শান্তিনিকেতনের শ্রীলঙ্কান পরিবারেরআরও পড়ুন : গোতাবায়ার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, জানাল প্রধানমন্ত্রীর দফতরপরিবারের সদস্যরা বলেন, “পরিবারের সবার সঙ্গেই কথা হয় ৷ খুবই চিন্তায় আছি ৷ দেশের এই পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী ৷ টাকা থাকলেও জিনিস কিনতে পারছে না কেউ ৷ ফুয়েলের এত দাম, কেউ কোথাও যেতে পারছে না ৷ দেশের জনগণ যদি আরও আগে সজাগ হত, ভালো হত । পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক এটাই চাইছি ।”
অপরদিকে শ্রীলঙ্কা প্রধান মন্ত্রীর বাসভবনে ১০ হাজারের বেশি জণগন ঘেরাও করেছে। বিশ্ব অর্থ নৈতিক সঙ্কট ভুগছে শ্রীলঙ্কা ,গোটা দেশে ইমারজেন্সী চালু করছে শ্রীলঙ্কার অবশিষ্ট সরকার।দেশের জণগন কে নিয়ন্ত্রন আনতে পারেছে না দেশের নিরপত্তা রক্ষীরা।