
মোঃহারুনুর রশিদ ,কচুয়া প্রতিনিধিঃ
আমাদের দৈনিক জীবনে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা হয়ে থাকে এটা নতুন করে বলার কিছু নেই, প্রতিদিন সড়কে ঝরছে প্রাণ। প্রতিদিনই খবরের কাগজে ভেসে উঠছে বীভৎস সব লাশের ছবি। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার খবর যেন আমাদের গা-সহা হয়ে গেছে। ফলে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ ঝরলেও তা আমাদের মনকে আবেগতাড়িত করে না।
শনিবার, ১২ টার সময় একটি পথযাত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে, চলন্ত প্রাইভেটকারের চালক নিয়ন্ত্রণ হারায়, গাড়ির নাম্বার হলো/ঢাকা মেট্রো-গ (২৯-০৬৫২) এই গাড়িটি ভাড়ায় চালিত।
ঘটনাস্থল থেকে আমরা জানতে পারি যে, গাড়িটি ঢাকা টু চাঁদপুর জেলায় যাওয়ার পথে কচুয়া টু হাজীগঞ্জ সড়কে, উত্তর কালোচোর গ্রামে এক পথচারী রাস্তা পার হওয়ার সময় প্রাইভেটকারটি সামনে চলে আসে, পরে গাড়ি চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের বামপাশের একটি কড়ই গাছের সাথে প্রাইভেট কার এর সামনের বাম পাশের অংশটুকু অকল্পনীয় ঘটনাটি ঘটে যায়, এক্সিডেন্ট হওয়ার কারণে চালকের তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত সম্মুখীন হয়, চালক মোঃ মনির হোসেন( ৩৫) জানান গাড়ির গতিসীমা ৬০ ছিলো। তবে ড্রাইভার কিছুটা আঘাত প্রাপ্ত হন, বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনার খবর বা কোন পথযাত্রীর তেমন কোন ক্ষতি ও দেখা যায়নি।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো কমবেশি সবারই জানা। চালকের অ-সতর্কতা, অ-সচেতনতা, বেপরোয়া বা অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালানো, ত্রুটিপূর্ণ রাস্তা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
এ ছাড়া চালকরা অনেক সময় ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত অবস্থায় গাড়ি চালায়, যার ফলে একসময় নিজের অজান্তেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। তাই চালকদের এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। কোনোভাবেই অসুস্থ বা ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো যাবে না। প্রত্যেক মানুষেরই পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম প্রয়োজন।
সড়ক দুর্ঘটনার আরেকটি বড় কারণ হল মহাসড়কগুলোতে দ্রুতগতির যানবাহনের পাশাপাশি ধীরগতির যানবাহন চলাচল। গতির তারতম্য থাকায় দ্রুতগতির গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ধীরগতির বাহন রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে। তাই মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করা জরুরি।
ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণেও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই আমাদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কগুলোকে ডিজিটাল নজরদারির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। সরকার, চালক, মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে- মনে রাখতে হবে, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।