
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় অনেকের কাছে টাকাই যখন মুখ্য বিষয়, ঠিক সে মুহূর্তেই মাজহারুল হক প্রধানের মতো কেউ কেউ সরল সাদাসিধে জীবন যাপনকেই সবচেয়ে সুখময় ভাবছেন, স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন।
একজন সংসদ সদস্য সাইকেল চালিয়ে বাজারে যাচ্ছেন, নিত্যদিনের কেনাকাটা করার জন্য, এমন ঘটনা শুনলে এখনকার সমাজের মানুষ একটু অবাকই হন বটে! কিন্তু বাস্তবিকই তিনি আমাদের দেশের পঞ্চগড়-০১ আসনের পর পর দুইবারের নির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মাজহারুল হক প্রধান। প্রায়ই তিনি এভাবে সাইকেল চালিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের সাথে সাক্ষাত করে সুখ দুখের খবর নেন, বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন এবং সমাধান কল্পে ব্যবস্থা নেন। এখনো পাড়া গাঁয়ের বয়স্কা নারী ফুলবানু’র (জরিনার মা) হাত ইশারার ডাকেই সাইকেল থামিয়ে নেমে পড়েন এমপি মাজহারুল, দক্ষিণ পাশের আম গাছতলায় গিয়ে মাদুর বিছিয়ে দুই পা ছড়িয়েই আয়েশ করে বসেন। নাম ধরে ডাকাডাকি করেন প্রতিবেশিদের, জানতে চান কেমন থাকছেন তারা? তিন বছর আগে বিয়ে দেয়া মেয়ে কুলসুম কেমন আছে, ছেলের ঘরের নাতি সবুজের পড়াশুনা ঠিকমতো চলছে তো? খবর পেয়ে পাশের গ্রামের আক্কাস আলী ধান ক্ষেত থেকেই কাদাপানি মাখামাখি অবস্থাতেই ছুটে আসে, সালাম দেয়। কৃতজ্ঞতায় বিনয়াবনত আক্কাস বলতে থাকে, মাজহার কাকা কী যে জ্ঞ্যান দিলেন…ছেলেটা আমার সব ছেড়ে সভ্য ভদ্র হয়ে গেল। কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে এসেই লুঙ্গি পড়ে সোজা ক্ষেতে গিয়ে হাজির হয়, খুব সাহায্য করে আমাকে। তাস খেলা, বখাটেপনার আড্ডাবাজি সব ছেড়ে ক্যামনে যে ভাল হয়ে গেল এর কিছুই বুঝতে পারলাম না। আক্কাসের মুখের কথা শুনে হাসতে থাকেন এমপি নিজেও। বলেন, ছোট বেলায় আমরা কী কম দুষ্টু ছিলাম? কিন্তু যৌবণের শুরুতেই সব ছেড়ে ভাল হতে হয়েছে। আমাদের শক্ত যোগ্য অভিভাবক ছিলেন, তারাই সময়মতো লাগাম টেনে আমাদের সঠিক পথে চালিয়েছেন। তোমার ছেলেকেও আমি শুধু অভিভাবক হিসেবে সুন্দর সঠিক পথটা চিনিয়েছি…তার লাগাম টেনে ধরতেও হয়নি। এটুকু গাইডের অভাবে ছেলেটা বখাটে হয়ে যাচ্ছিল। এ ভাবে সহজ সরল গ্রাম্য জীবনে সাধারণ মানুষের ভালবাসাকেই সুখ প্রাচুর্য হিসেবে মনে করেন এমপি মাজহারুল। সেখানেই তার সব আনন্দ।

বিএনপির ঘাঁটি নৌকার দখলে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় হিমালয় কন্যা হিসাবে পরিচিত। পঞ্চগড়ের তিনটি উপজেলা নিয়ে পঞ্চগড় ০১ আসনটির অবস্থান। আটোয়ারী, তেতুলিয়া ও পঞ্চগড় সদর। এ আসনটি স্বাধীনতার পর থেকে বেশি সময় বিএনপি এর দখলে ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আলহাজ্ব মোঃ মজাহারুল হক প্রধানকে নমিনেশন দেওয়ার পর আলহাজ্ব মোঃ মজাহারুল হক প্রধানের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় ও এলাকায় জনপ্রিয়তা থাকায় সাবেক অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পীকার জমিরউদ্দীন সরকারকে বিপুল ভোটে ব্যবধানে হারিয়ে নৌকার বিজয় অর্জন করেন এ আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে নিয়ে আসেন। পরবর্তী নির্বাচনেও ব্যারিষ্টার নওশাদ জমিরকেও বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে তিনি এলাকার ভোটারদের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে নৌকা মার্কার প্রতীক নিয়ে আবারও জয়যুক্ত হন।
অতিসাধারণ হয়েই জনপ্রিয়তার শীর্ষে আলহাজ্ব মোঃ মজাহারুল হক প্রধান এমপির এলাকায় রয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা। বেশি সময় তিনি সংসদ সদস্য হয়েও তার নির্বাচনী এলাকায় জনগণের জন কল্যাণ মুলক কাজ করে সময় কাটান। কৃষকদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে তিনি তাদের সমস্যা সমাধান করার চেষ্ঠা করেন। বেকার সমস্য সমাধানের জন্য তিনি বিভিন্ন জনের চাকুরীর ক্ষেত্রে বিনা পয়সায় সুপারিশ করেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিতে তার রয়েছে অগ্রনী ভূমিকা। নিজ উদ্যোগে তিনি প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার প্রদান করেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেতন ভাতার জন্য তিনি শিক্ষকদের সুপারিশ করেন বিনা পয়সায়। বিভিন্ন সরকারী বে-সরকারী চাকুরীর জন্য সুপারিশ করেন আলহাজ্ব মোঃ মজাহারুল হক প্রধান এমপি । তার ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় গড়ে উঠেছে অনেক ছোট বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। এই শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোতে স্থানীয় বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
সবারই বান্ধব তিনি আলহাজ্ব মোঃ মজাহারুল হক প্রধান এমপি এর প্রচেষ্ঠায় পঞ্চগড়ে চা শিল্প এখন সারাদেশ সহ সারাবিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে। তিনি চা শিল্প কারখানার মালিকদের উৎসাহ দিয়ে পঞ্চগড়ে নিত্য নতুন চা কারখানা তৈরি প্রস্তাব করেন। সার্বিক ভাবে কারখানার মালিকদের সহযোগীতা করেন। তার সহযোগীতা পেয়ে কারখানার মালিকগণ খুশি। চা কারখানা তৈরিতে তাদের আগ্রহ বাড়ছে। পঞ্চগড়ে চা বাগান মালিকগণ আলহাজ্ব মোঃ মজাহারুল হক প্রধান এমপি এর সার্বিক সহযোগীতায় চা পাতার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে এবং দিনদিন নিত্য নতুন চা বাগান করতে আগ্রহ বাড়ছে। তিনি নিজেও একজন চা বাগান মালিক। আদর্শ কৃষকের ভূমিকা তিনি পালন করেন। এছাড়াও পঞ্চগড়ের পাথর সারা দেশে একটি জনপ্রিয় নাম। পাথর ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য তিনি প্রশাসনের নিকট খোজ খবর রাখেন। পঞ্চগড়ে অভাবী দুস্থ্যদের বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা চিকিৎসার ভার তিনি নিজে বহন করেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে উদ্ধোধন উৎসাহ প্রদান করে তিনি অংশগ্রহণ করেন। আলহাজ্ব মোঃ মজাহারুল হক প্রধান তার নির্বাচনী এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, পুকুর খনন, ব্রীজ নির্মাণ, শতভাগ বিদ্যুৎ বাস্তবায়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে সরে জমিনে খোজ খবর নেন। চিকিৎসা সেবা জনগনের দোর গোড়ায় পৌছানোর জন্য তিনি খোজ খরব দেন। জেলা আইন শৃঙ্খলা, উপজেলা আইন শৃঙ্খলা প্রতিটি মিটিং এ তিনি অংশ গ্রহণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রুপ কল্প বাস্তবায়নের জন্য জোর তাগিদ দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার পরেও জনগনের কথা চিন্তা করে ঢাকায় বেশিদিন অবস্থান না করে তার নির্বাচনী এলাকায় বেশি সময় কাটান।
মন্ত্রী হোক সাদা মনের মানুষটি পঞ্চগড়ের মানুষের বহুদিনের স্বপ্ন তাদের প্রিয়নেতা প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন সহজ সরল, মুজিব সৈনিক প্রবীণ রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মোঃ মজাহারুল হক প্রধানকে মন্ত্রী হিসাবে পঞ্চগড়ে পাবে। তার মেধা দিয়ে পঞ্চগড়সহ দেশের উন্নয়নে কাজ করবে।
বিভিন্ন নির্বাচনী মঞ্চে কেন্দ্রীয় নেতারা ওয়াদা করেছিল আলহাজ্ব মোঃ মজাহারুল হক প্রধানকে পঞ্চগড়ে এমপি নির্বাচিত করতে পারলে আমরা তাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করব আলহাজ্ব মোঃ মজাহারুল হক প্রধান মন্ত্রীত্ব দেওয়ার জন্য। সেই ওয়াদা পূরণ হবে পঞ্চগড়বাসী পাবে একজন সৎযোগ্য মন্ত্রী। আটোয়ারী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আনিছুর রহমান জানান আলহাজ্ব মোঃ মজাহারুল হক প্রধানকে মন্ত্রী হিসাবে পেলে আটোয়ারী উপজেলার চেহারা পাল্টে যাবে। তেতুলিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মন্ডল জানান আলহাজ্ব মোঃ মজাহারুল হক প্রধানকে মন্ত্রীত্ব দিলে তেতুলিয়া উপজেলা পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা সম্ভব হবে। জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া খাতুন জানান পঞ্চগড়ে দীর্ঘ দিনের প্রবিণ নেতা আলহাজ্ব মোঃ মজাহারুল হক প্রধান মন্ত্রী হলে পঞ্চগড়বাসী খুশি হবে।