
তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
চাকমা রাণী ইয়েন ইয়েন বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করছি উন্নয়ন প্রকল্পের নামে জাতিগত সংখ্যালঘুদের জমি দখল করে উচ্ছ্বেদ করা হচ্ছে। আদিবাসীদের ভুমি উপর প্রথাগত অধিকারক নিশ্চিত করতে হবে। আদিবাসীদের নামে মিথ্যা বন মামলা ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং বনায়ন ও উন্নয়ন প্রকল্পের নামে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেয়া যাবে না।
সোমবার (১৮) জুলাই গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জয়পুর সাঁওতাল পল্লীতে সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ ও জনউদ্যাগ এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চাকমা রাণী ইয়েন ইয়েন আশা প্রকাশ করে আরও বলেন, একদিন দেশে থেকে দুর্ণীতি দূর হবে। সুশাসন ও আদিবাসীদর অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে। বর্তমান প্রজন্ম অনেক বেশি দায়িত্ববান ও প্রগতিশীল। তারা দুর্ণীতি প্রতিরাধ এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা. ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্ব সভায় অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য দেন, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ আহায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীদ্রনাথ সরনে, বসরকারী উনয়ন সংস্থা অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক ও জনউদ্যাগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবতী, আদিবাসী ফোরাম নেতা উজ্জ্বল আজিম, সমাজকর্মী জাহাঙ্গীর কবীর তনু, আদিবাসী নত্রী প্রিসিলি মুরমু, তষ্ণা মুরমু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও সাঁওতালরা তাদর অধিকার ও মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। সাঁওতাল হত্যা, লুটপাট, অগিসংযাগর পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে আজও বিচার কাজ শুরু হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে সাঁওতালদের পুনর্বাসনসহ নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
তারা বিরোধপূর্ণ জমিতে ইপিজেড নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ, তিন সাঁওতাল হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, সাঁওতাল-বাঙালিদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, বাপ-দাদার জমি ফেরতসহ সাত দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
উল্লখ্য, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকায় রংপুর চিনিকলের আওতায় ১ হাজার ৮৪২ একর জমি আছে। ২০১৬ সালর ৬ নভেম্বর চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ এসব জমিতে উচ্ছেদ করতে গেলে সাঁওতালদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে তিন সাঁওতাল নিহত হয় এবং প্রায় ২০ জন আহত হয়।