
তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার মাঠ-ঘাট পুড়ছে খরতাপে। হাঁপিয়ে ওঠেছে মানুষ। যেন হাঁসফাঁস আওয়াজ সর্বত্র। প্রাণীকূল ছড়াচ্ছে তপ্ত নিশ্বাস। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষায় গলাপানিতে নেমেছে অনেকে। পরিবারের শিশু-স্ত্রীসহ একটুখানি স্বস্তি পেতে পানিতে লাফা-লাফি করছে তারা।
রোববার (১৭ জুলাই) গাইবান্ধা শহরের থানাপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন খাল-বিল-পুকুরে দেখা যায়, গরমে নাভিশ্বাস হওয়া মানুষগুলো পানিতে নেমে হাবুডুবু খেলছে।
জানা যায়, গাইবান্ধার প্রত্যান্ত অঞ্চলে সূর্যোদয় থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত প্রখর রোদে পুড়ছে মানুষ-পশুপাখিসহ ফসলি আবাদ। দীর্ঘদিন ধরে টানা খরতাপের কবলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। শ্রমজীবি মানুষেরা মাঠ-ঘাটে কাজ করতে হাঁপিয়ে ওঠেছে। একটু স্বস্তি পেতে আশ্রয় নিচ্ছে গাছতলায়। কেউ কেউ রোজগার বাদ দিয়ে বাড়িতে বসে অলস সময় পার করছে। কিন্তু সেখানেও নেই স্বস্তি। কেউবা বাধ্য হয়ে উন্মুক্ত জলাশয়ে লাফা-ঝাপা করছে। এছাড়া শরীরের আদ্রতা বজায় রাখতে ডাবের পানি, সরবতসহ বিভিন্ন ধরণের পানীয় পান করছে।
বিশেষ করে চরম বেকায়দা রয়েছে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুরা। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নজর রাখছে পরিবারের অন্যান্য সদস্যারা। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাহিরে বের হচ্ছে কম। যদিও বের হচ্ছেন তারা হালকা কাপড় ও মাথায় ছাতা ও হাতে পাখা নিয়ে চলাফেরা করছে। সবমিলে টানা তাপপ্রবাসে জনজীবনে নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে। মাত্রারিক্ত তাপদাহের কারনে খেটে খাওয়া মানুষগুলো ঠিকমতো রোজগার করতে না পারায় থমকে গেছে তাদের জীবনজীবিকা। প্রাকৃতিক এই খরতাপে ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি, ডায়রিয়া-নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা
দিয়েছে। সবমিলে চরম বেকায়দায় রয়েছে মানুষেরা।
মাহফুজুর রহমান তিতাস নামের এক ব্যক্তি বলেন, এমন তাপমাত্রার বিরূপ আবহাওয়া জীবনে কখনো দেখিনি। যেনো আগুনের শিখার মতো রোদের দাপট। এ থেকে স্বস্তি পাওয়া মুসকিল হয়েছে। কিছুটা স্বস্তি পেতে বাধ্য হয়ে পরিবারের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পুকুরের পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছি।
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন আ খ ম আক্তারুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে কিছুটা রোগ-বালাই বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্রারিক্ত তাপ প্রবাহ থেকে রক্ষায় বিশ্রামসহ ঠান্ডা পানীয় পান করতে হবে। জরুরি কাজ ছাড়া বাহিরে বের না হওয়ায় ভালো।