
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্র থেকে কোম্পানিগঞ্জে পালিয়ে আসা ২০ রোহিঙ্গা আটকের ১২ ঘটনা পর ফের পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ছিল, ৫জন পুরুষ, ৬জন নারী এবং ৯ জন শিশু।
সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের কিল্লার বাজার সংলগ্ন নামার বাজারের সেলিম মাঝির ঘর থেকে পালিয়ে যায় তারা।এরআগে গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে কিল্লার বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করেন স্থানীয়রা।পরে চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে জানিয়ে তাদের ইউপি সদস্য আব্দুল হক মেম্বারের জিম্মায় রাখা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ,পুলিশ প্রশাসন ইউপি চেয়ারম্যানের গাফলতির সুযোগে চরএলাহী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদ্যস্য আব্দুল হক ও সেলিম মাঝির যোগসাজশে আটককৃত রোহিঙ্গাদের পুনরায় পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান,গতকাল রাতে ২০ রোহিঙ্গাকে আটকের সাথে সাথে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে অবহিত করা হয়। আটকের ১২ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রোহিঙ্গা পুনরায় পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হক আটককৃত রোঙ্গিাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চৌকিদার চেয়ার নিয়ে ঘরের সামনে বসা ছিল। ঘরের পাশে হাজার মানুষ ভিড় করছিল। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই সময় কিছু দুষ্কৃতিকারীরা একজন-একজন করে সব রোহিঙ্গাকে ঘর থেকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে আমরা বিষয়টি আচঁ করতে পারি। তাদের সবাইকে পুনরায় ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থানা থেকে অনেক দূরে ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে আটককৃত রোহিঙ্গারা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।