

গাজীপুর থেকে সংবাদদাতা:
গাজীপুরের শ্রীপুরে অরক্ষিত রেল ক্রসিং যেন মরণফাঁদ এখন পরিণত হয়েছে।এসব রেল ক্রসিং গেটে গেটম্যান নেই। নিজ দায়িত্বে ও সাবধানে পারাপার হতে হয়, দুর্ঘটনা ঘটিলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় এমন সাইনবোর্ড টাঙিয়েই দায় সেরেছে রেল কর্তৃপক্ষ। অরক্ষিতএমন অর্ধশতাধিক রেলক্রসিং রয়েছে ঢাকা ময়মনসিংহ রেলওয়ে গাজীপুর অংশে। এগুলোতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছে সচেতন মহল। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় , উপজেলার কাওরাইদ বাজারে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে একটু সামান্য দূরেই ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন। তড়িঘড়ি করে সময় বাঁচাতে কাজল মিয়া নামে এক যুবক রেল লাইন পার হচ্ছিলেন। একটু অসাবধানতার জন্য ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কথা হলে কাজল মিয়া জানান , গেটে গেটম্যান থাকলে প্রতিবন্ধক দেওয়া থাকত। পার হওয়ার উপায় থাকত না। গেটে প্রতিবন্ধক না থাকায় অনেকেই ট্রেন আসতে দেখেও পারাপার হন।অরক্ষিত এসব রেলক্রসিংয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনা। অকালেই ঝড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনেক সময় গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনের গাড়ি আটকে ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝড়ে যাচ্ছে অনেক তাজা প্রাণ। সচেতন মহলের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে গেটম্যানের ব্যবস্থা করা হোক। এদিকে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণ জনবল না থাকায় রেলক্রসিংগুলো অরক্ষিত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এগুলোতে গেটম্যানের ব্যবস্থা করা হবে।অপরদিকে, অনেক স্থানে গেটম্যান থাকলেও গেট প্রতিবন্ধক নেই। থাকলেও সেগুলো ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। আবার কোনোটিতে গেট আছে, গেট প্রতিবন্ধক আছে কিন্তু গেটম্যান নেই। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন মানুষজন।ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনের কাওরাইদবাজারের বাসিন্দা সামাদ বলেন, ‘অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ২০১০ সালে মুন্নী নামে এক স্কুলশিক্ষার্থী মারা যায়।’ বারেক মিয়া নামে একজন বলেন, আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। কখন ট্রেন এসে যায়। বুধবার সন্ধ্যায় সাতখামাই রেল ক্রসিং দিয়ে শত শত পরিবহন আর হাজার হাজার মানুষ চলাচল করতে দেখতে পান এই প্রতিবেদক। গুরুত্ব বিবেচনায় এখানে একজন গেটম্যান খুবই জরুরি।বাংলাদেশ রেলওয়ে, গাজীপুরের দায়িত্বে থাকা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলো সাবধানে পারাপার হতে হবে। রেললাইনের ওপর দিয়ে যত্রতত্র পারাপারের বিধান নেই। অনুমতি না নিয়ে কোনো ব্যক্তি রেললাইনের ওপর দিয়ে হাঁটতেও পারবেন না, যদি হাঁটেন তাহলে গ্রেপ্তার ও দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।