ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি এবং অসাধু উপায়ে ভুয়া জন্মনিবন্ধনে নাম-ঠিকানা দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে বাংলাদেশের মূলস্রোতে মিশে যেতে মরিয়া মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা৷ বাংলাদেশী নাগরিকের জন্মনিবন্ধনে নাম পরিবর্তন করে ভোটার হতে রোহিঙ্গা নারী পুরুষের নাম লিপির অভিযোগ উঠেছে। তথ্যসূত্রে জানাযায়, কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের পূর্ব পাহাড়তলির স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদের পুত্র মোহাম্মদ জাকের হোসেন ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াছমিন জয়া’র নামে নিবন্ধীত জন্মসনদের(১৯৮৩২২২২৪০৫০০৮২০১/১৯৮৫২২২২৪০৫০০৮২০৪) নাম পরিবর্তন করে মোহাম্মদ জাকের হোসেন এর নামের পরিবর্তে আব্দুল্লাহ এবং ফরিদা ইয়াছমিন জয়া’র নাম পরিবর্তে মিনু আকতার করা হয়েছে। এব্যাপারে ভূক্তভোগী মোহাম্মদ জাকের হোসেন বলেন, আমার নামীয় জন্মনিবন্ধন নাম্বার ১৯৮৩২২২২৪০৫০০৮২০১ ও আমার স্ত্রী ফরিদা ইয়াছমিন জয়া, পিতা: আলী আকবর, জন্মনিবন্ধন নাম্বার ১৯৮৫২২২২৪০৫০০৮২০৪ যাহা জাতীয় সার্ভারে ১০ ডিসেম্বর ২০০৭ থেকে নিবন্ধিত ছিল। এই জন্মনিবন্ধন সনদটি আমি ও আমার স্ত্রী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে আসছি। বিগত ১৪ জুন আমার দুই ছেলের নামে জন্মনিবন্ধন সনদও গ্রহণ করি যার নাম্বার২০১১২২২৬৬০৭১৫৬৯৪২/২০১১২২২৬৬০৭১৫৬৯৪৩। এই জন্ম সনদ নিয়ে আমি সন্তানদেরকে স্কুলে ভর্তি করি এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করি। গত ২৭ জুন ২০২২ ইং তারিখে আমার সন্তানদের স্কুল থেকে জানানো হয় যে আমি নকল জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে সন্তানদেরকে ভর্তি করিয়েছি যার কারনে সন্তানদের ভর্তি বাতিল করে দিবে বলে জানায় স্কুল কতৃপক্ষ। জন্ম সনদটি যখন আমি নিজে দেখি জন্মনিবন্ধনে আমার নাম পরিবর্তন হয়ে আব্দুল্লাহ এবং আমার স্ত্রীর নাম পরিবর্তনে হয় মিনু আকতার । তিনি আরো বলেন, জাতীয় সার্ভারের মত সুরক্ষিত সার্ভারে আমার ও আমার স্ত্রীর নাম চৌদ্দ বছর পর কি ভাবে পরিবর্তন হলো তা বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে যথাযত ব্যবস্থা নিয়ে আমার যাবতীয় কাজ পরিচালনা ও আমার সন্তানদের স্কুলের ভর্তি বাতিল হতে রক্ষা করার জন্যে গত ৩ জুলাই স্থানীয় সরকার, কক্সবাজার জেলার উপ-পরিচালক বরাবর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিকের মাধ্যমে অবগত করে একখানা লিখিত আবেদন করেছি। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে যথাযত ব্যবস্থা নিয়ে যাবতীয় কাজ পরিচালনা ও সন্তানদের স্কুলের ভর্তি বাতিল হতে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন মোহাম্মদ জাকির হোসেন।