
গ্রীষ্মের তাপদাহে কত লিটার পানি পান করা উচিত, জানালেন পুষ্টিবিদ
তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা। বাড়ির বাইরে পা রাখলেই সূর্যের রোদ যেন ঝলসে দিচ্ছে। শরীর থেকেই ঝরনার মতো বেরোচ্ছে ঘাম। এই পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না
তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা। বাড়ির বাইরে পা রাখলেই সূর্যের রোদ যেন ঝলসে দিচ্ছে। শরীর থেকেই ঝরনার মতো বেরোচ্ছে ঘাম। এই পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না
প্রকৃতিতে প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস চারদিক। এ সময়ে সুস্থ থাকতে সতর্ক থাকা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ
ডা. শাহীন আলম সরকার: সিজার করার পর দেখা যায় যে, বাচ্চা পেটে নাই। কী আচানক ঘটনা! তাহলে বাচ্চা গেলো কই? গত তিন-চার দিন যাবৎ পাবনার এমন একটা ঘটনায় নেট দুনিয়া বেশ উত্তাল। নিউজ পাল্টা নিউজেনিউজফিড সরগরম। গরমের মাত্রা ঘন্টায় ঘন্টায় বাড়িয়ে দিচ্ছে তুমিনলবাসী মানে ইউটিউবার গোষ্ঠী।এদের তো ঈদ লেগে গেছে অবস্থা। ভাইরে ভাই এরা পারেও। ঘন্টায় ঘন্টায় ব্রেকিং নিউজ! অনেকেই ইনবক্সে লিংক দিয়ে জানতে চেয়েছেন, এমনটা কি হতে পারে? এক ডাক্তার মেয়েও ইনবক্সকরেছেন, আপা আমি ৩৬ সপ্তাহের প্রেগন্যান্ট। আতংকে আছি। এই সম্পর্কে একটু লিখবেন, প্লিজ! ঘটনা হলো, লেবারপেইন নিয়ে এক রোগী ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে। যার আগের বাচ্চা সিজার। ক্লিনিকথেকে গাইনি সার্জন কল দেওয়া হয়েছে। রোগীর লেবার পেইন সাথে সিজারিয়ান সেকশনের হিস্ট্রি আছে।ইমার্জেন্সি কেইস, তাড়াতাড়ি ম্যানেজ করতে হবে। না হলে পেশেন্ট বিপদে পড়ে যাবেন। এই তাড়াতাড়ি ম্যানেজ করতে যেয়ে এবং পেশেন্টকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে ডাক্তার নিজেবিপদে পড়ে গেলেন। এই জন্যই প্রবাদে বলে, “চাচা আপন প্রাণ বাঁচা!” ইমার্জেন্সি হোক আর যাই হোক ডাক্তার যদি নিজের সেফটির কথা চিন্তা করে একটিবার ডকুমেন্টসদেখতে চাইতেন কিংবা রোগীর ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশন করে দেখতেন, তাহলে তাকে এভাবে কাঁদতেহতো না। এই ঘটনা একটা লেসন। বিশেষ করেপেরিফেরিতে গাইনি চিকিৎসা দিতে যাওয়া ডাক্তারদেরজন্য আরো বেশি লেসন। আমি আগে অনেকবার বলেছি, মেডিকেল সায়েন্সের পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা অন্যদের কাছে গল্প মনে হবে। শুধু গল্প নয়এক্কেবারে আষাঢ়ে গল্প! এই ঘটনাটিও তেমন একটি ঘটনা। ডাক্তারী ভাষায় এর নাম ফ্যান্টম প্রেগন্যান্সি বা সিউডোসায়েসিস বা ফলস প্রেগন্যান্সি। এখানে একজনপেশেন্টের প্রেগন্যান্সির সকল ধরনের উপসর্গ থাকবে। যেমন – বমি থেকে পেট বড় হওয়া, বাচ্চারনড়াচড়া এমন কি লেবার পেইন পর্যন্ত থাকবে কিন্তু বাচ্চা থাকবে না। ইতিহাস নিয়ে জানা যাবে এইধরনের পেশেন্টর হিস্ট্রি থাকবে অনিয়মিত মাসিকের, অনেক দিনেরবন্ধ্যাত্বর। নিজের কিংবা পরিবারের চাপ থাকবে ছেলে বাচ্চার। এই পেশেন্টর ও অনিয়মিত মাসিক, বেশিওজন এবং বন্ধ্যাত্বের হিস্ট্রি আছে এবং সে পিসিওএস নামক এক জটিল রোগে ভুগছেন। এই প্রেগন্যান্সির হার খুব কম, প্রতি বাইশ হাজারে ১-৬ জন। সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক আমি শিউরদিয়ে বলতে পারবো অনেক ডাক্তারও এই জিনিসটি জানেন না। অনেক প্রসূতি ও গাইনি বিশেষজ্ঞ ওহয়তো বা সারাজীবনে এমন একটি কেইস না ও পেতে পারেন। যদিও আমি আমার সতেরো বছরেরডাক্তারি লাইফে একটিমাত্র এমন পেশেন্ট পেয়েছি। সে গল্প পরে হবে। সতেরো বছরের গাইনি প্রেক্টিসেযদি একজন মাত্র ফ্যান্টম প্রেগন্যান্সির কেইস পাই সেই ধরনের কেইস অন্য ডিসিপ্লিনের কেউ না পেলেকিংবা জনগন এই ব্যপারে না জানলে খুব বেশি বলার কিছু নেই। এটা তেমন বিগ ডিলও নয়। এখন প্রশ্ন করতে পারেন, বাচ্চা পেটে নাই অথচ মা মনে করেন তিনি প্রেগন্যান্ট এবং প্রেগন্যান্সির সবধরনের উপসর্গ ও তার থাকবে, কেনো এমন হয়? ব্যাখ্যা কি? সুন্দর প্রশ্ন এবং ভ্যালিড প্রশ্ন। সমস্যা হচ্ছে, সহজ প্রশ্নের উত্তর সবসময় সহজ হয় না। জটিল থেকেজটিলতর হয়। জটিল কিছু শোনার জন্য তৈরি আছেন তো? শোনেন তাহলে। মানুষের মনোজাগতিক কেন্দ্র এবং ইচ্ছা এতোই প্রবল হতে পারে যে, শুধুমাত্র ইচ্ছের জোড়ে একজন নারীতার মাসিক বন্ধ করে দিতে পারে। অর্থাৎ সে যদি ইনটেন্স ইচ্ছে পোষণ করে যে, সে প্রেগন্যান্ট হবে এবংপ্রেগন্যান্সির জন্য ডাইহার্ট হয়, দীর্ঘ বন্ধ্যাত্ব নিয়ে স্ট্রেসের ভেতর দিয়ে যায় তাহলে তার পিরিয়ড বা মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং যাবে। আর কে না জানে, প্রেগন্যান্সির প্রথম উপসর্গ মাসিক বন্ধ থাকা? পরপর কয়েকমাস মাসিক না হলে পেটে মেদ জমবে। পেট বড় হতে থাকবে। ইতোমধ্যে তার প্রেগন্যান্সির ব্যপারটি প্রিয়জনরা জেনে গেছে। দীর্ঘ বঞ্চনার জীবন পেরিয়ে স্বামী, শাশুড়ি, পরিবার, সমাজ থেকে সে পেম্পারিং পাওয়া শুরু করেছে। অনেক আকাঙ্ক্ষার ভ্যালুয়েবল বাচ্চা ফলেতাকে খুব সব ধরনের কায়িক শ্রম থেকে দূরে রাখা হয়। একদিকে যত্নআত্তি ভালো খাবারদাবারআরেকদিকে পরিশ্রমের কাজ থেকে দূরে থাকা। ফলাফল তার ওজন আরো বেশি বেড়ে যায়। ওজনবাড়তে থাকা প্রেগন্যান্সির ধারণাকে আরো বেশি শক্ত করে। এদিকে বেশি ওজনের রোগীর ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশন করা একটু ডিফিকাল্ট। ফলে প্রফেশনালরাওঠিকমতো বুঝতে পারেন না। তাদের আলট্রাসাউন্ড এর সাহায্য নিতে হয়। আলট্রাসাউন্ড করলে দেখাযায়, পেটে কোনো বাচ্চা নেই। এই রোগীরা আসলে জানে তাদের যে বাচ্চা নেই, ধরা পড়ার ভয়ে অনেকে তাই ডাক্তারের কাছে যেতে চায়না, পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে চায় না। কেননা দীর্ঘ বঞ্চনার পর হোক মিথ্যা তবুও এই প্রেগন্যান্সিরউসিলায় তার জীবনে একটু আদর সোহাগ এসেছে। সে যে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এটা সমাজ, সংসারমেনে নিয়েছে। এতো তাড়াতাড়ি এটা শেষ হয়ে যাক, কে চায় বলুন? উক্ত রোগীর ক্ষেত্রে আমরা ভালো ভাবে খেয়াল করলে দেখতে পাবো, তার কোনো ভ্যালিড আল্ট্রাসাউন্ডনাই, যেটা বাচ্চা আছে প্রমাণ করে। বরং তাকে নাকি বলা হয়েছিলো বাচ্চা নেই। কনফার্ম করার জন্যপ্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে। সে করেনি। আটমাসের সময় ডাক্তার দেখাতে এসে ডাক্তার না দেখিয়েই স্বামীকে বলেছেন, ডাক্তার দেখিয়েছেন। তারছেলে বাচ্চা হবে। স্বামী যখন ঔষধ কিনতে প্রেসক্রিপশন চেয়েছেন, তখন বলেছেন ডাক্তার বলেছেন, আট মাস ঔষধ খাওনি এখন আর খাওয়া লাগবে না। এবং খটকা আরেকটু জোড়ালো হয়েছে, তাদেরজোর দিয়ে বলা, ছেলে বাচ্চার কথা। আগে একটি মেয়ে বাচ্চা আছে এবার একটি ছেলে বাচ্চার স্বপ্নদোষের কিছু নয়। এসব তথ্য সবই উক্ত ঘটনার সংবাদ সম্মেলন থেকে পাওয়া।একজন ডাক্তার হয়ে দায় নিয়েই বলছি, উক্ত ডাক্তারের ভুল ছিলো কোনো কিছু না জেনে, না দেখেঅপারেশন করতে রাজি হওয়া। হোক রোগী ইমার্জেন্সি কন্ডিশনের। হোক রোগী মরো মরো। নিজেরসেফটির ব্যপারও তো দেখতে হবে। মানতে হবে প্রোটোকল কি বলে। পৃথিবীর কোনো দেশেই ক্লিনিক্যালএক্সামিনেশন না করে, কনফার্ম না হয়ে অস্ত্রোপচারের কথা বলে না। না মানে না। নো নেভার এভার। এই পৃথিবী, এই সমাজ কখনো একজন রোগী বাঁচানোর জন্য একজন ডাক্তারের মনের ভেতরেরকাঁপুনিটা টের পায় না। পাওয়া সম্ভব নয়। পেলে একটু খোঁজ নিতো ঘটনা কি? ঘটনার ভেতরের ঘটনাইবা কি। সব তো হাতের কাছেই। ফ্যান্টম প্রেগন্যান্সি লিখে একটু সার্চ দিলেই তো হয়ে যায়। দিবেন কি? © ডা. ছাবিকুন নাহার এমবিবিএস ( ঢাকা), বিসিএস ( স্বাস্থ্য) এফসিপিএস ( অবস & গাইনী)স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন ইনফার্টিলিটিস্ত্রী, প্রসূতি ও গাইনীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জনঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি : সোনাগাজী উপজেলা ফার্মাসিটিউক্যালস রিপ্রেজেনটেটিভ এসোসিয়েশন (ফারিয়া)’র দ্বিতীয়বার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আলমগীর হোসেন টিপু, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ খালিদ আহমদ। ১০
মো: নিয়ামুল হাসান নিয়াজ: চলতি বছরে এখন পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আক্রান্তদের মধ্যে সাতজনেরই মৃত্যু হয়েছে।
মো: নিয়ামুল হাসান নিয়াজ: আজ ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যানসার দিবস । প্রতিবছর ন্যয় বিশ্বজুড়ে এই দিবস পালন করা হয়। মারাত্মক ও প্রাণঘাতী রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : ২২-৩১ জানুুয়ারী ২৭ তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রোববার সকালে লক্ষ্মীপুর সরকারী বালিকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত
ত্বকের সুরক্ষায় ময়েশ্চারাইজারেই ভরসা। এতে ত্বক নরম ও কোমল থাকে। তবে মুখের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে বডি লোশন মাখছেন না তো? অনেকেই এটা করে থাকেন; তবে এটা
স্বাস্থ্য ডেস্ক: চিকিৎসকদের উপহার দেওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনতে ওষুধ কোম্পানিগুলোকে পরামর্শ দিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, এতে ওষুধের দাম
মেডিক্যাল গবেষণায় দেখা গেছে, শীতকালটা স্ট্রোকের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। শীতের সময় সকালে ঠা-া পানি দিয়ে গোসল করা, বাথরুমে হঠাৎ ঝরনা ছেড়ে দেওয়া- এসবই বিপদের
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
ই-মেইল: [email protected]
হটলাইন : 01757551144
সাধারণ বীমা ভবন (৫ম তলা)
২৪, ২৫ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা
মতিঝিল, ঢাকা-১০০০, ফোন: ৪৭১১৪১৯৪
সংবাদ পাঠাতে: [email protected]